শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:-সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি সকল জীবের মধ্যে মানুষকে সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।এ জন্য সকল জীবের মধ্যে মানুষের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা সেরা প্রতিভা দিয়েছেন। পৃথিবীতে যত নতুন সৃষ্টি কিংবা আবিষ্কার সবই মানুষ করছেন। মাঝে মাঝে মনে হয় সৃষ্টিকর্তা সব প্রতিভা যেন আর্টিস চিত্র শিল্পীদের মধ্যে দিয়েছেন। যার ফলে তাদের রঙ তুলিতে উঠে আসে গ্রাম বাংলার চির সবুজ প্রকৃতি, নদ-নদী, ফুল কিংবা প্রিয় জনের ছবি। কানাই লাল সরকার এমনি একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী।
মাধ্যমিকের মধ্যেই লেখাপড়া সীমাবদ্ধ থাকলেও তার রঙ তুলির প্রতিভার যেন কোন জুড়ি নাই। পরিবেশ ও প্রকৃতির সবকিছুই উঠে আসে তার রং তুলিতে। দেখে মনে হয় সবকিছুই যেন জীবন্ত। কানাই পাইকগাছা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাতিখালী গ্রামের মধ্যবিত্ত সনাতন পরিবারে যার জন্ম। পিতা মৃত সুধীর কুমার সরকার, মাতা পূর্ণিমা রানী সরদার, ৩ ভাইয়ের মধ্যে কানাই ছোট। পারিবারিক অচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া জীবনে বেশিদূর এগুতে পারেনি কানাই।২০০২ সালে এসএসসি পাশ করার পর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। তবে স্কুল জীবন থেকে ছবি আঁকার উপর তার ভীষন শখ ছিল। ছোট বেলা থেকেই কমবেশি ছবি আঁকার কাজ করতো।স্কুল জীবনে একবার সে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি তার ছবি আঁকা কিংবা ডিজাইন করার কাজ। বাড়িতে বসেই শাড়িতে ডিজাইন, ছবি আঁকা ও বাইন্ডিং সহ বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে থাকে। এভাবেই চলতে থাকে কানাইয়ের চিত্রশিল্পের কাজ। পথিমধ্যে ডিজিটাল প্যানা মেশিন তার কাজের অনেকটা জায়গা দখল করে নিলে কাজের পরিধি ছোট হয়ে আসে। কিন্তু অন্যান্য কাজের ফাঁকে এ কাজটি নিরবে করে যাচ্ছে কানাই। বর্তমানে রঙ তুলি দিয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কানাই লাল।
এ প্রসঙ্গে কানাই লাল বলেন, ছবি আঁকা আমার ছোট বেলার শখ, একাজে আমি কারো কোন সহযোগিতা পায়নি। নিজের প্রচেষ্টায় যতটুকু সম্ভব শিখেছি। সর্বোপরী আমরা যারা শিল্পী আমাদের মনের একটা আয়না রয়েছে।এ আয়না দিয়ে আমরা যা কিছু দেখি তার সবকিছু আমরা রঙ তুলির মাধ্যমে প্রকাশ করি।এ কাজ করে এখন সংসার চলেনা।তবুও প্রিয় শখের কাজ বাদও দিতে পারিনা।বাড়ীতে বসেই যতটুকু পারি করে যাচ্ছি। তবে আমাদের মত ক্ষুদ্র শিল্পীদের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব।