এম আমির হোসাইন, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ায় ঘুমন্ত স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে পাষন্ড স্বামী জলিল। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম প্রেস ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলিলের অবস্থান সনাক্ত করে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার সামন্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাংগাশিয়া গ্রামের মন্নাফ’র মেয়ে ইতি বেগম (২৬) কে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত জলিল। জলিলের স্বীকারোক্তিমতে ঘটনার দিন বিকালে তিনি দুমকির পাগলার মোড়ে আসেন। সন্ধ্যার পর জলিল একটি দোকান থেকে ২ লিটার পেট্রোল কিনে রাত ৯টার দিকে শ্বশুরের ঘরের পেছনে অবস্থান নেয়। রাত গভীর হলে কৌশলে ঘরে ঢুকে ইতির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘরের লোকজন টের পেলে জলিল পালিয়ে পায়ে হেঁটে পাগলার মোড়ে আসে। পাগলা থেকে রাত আড়াইটার দিকে একটি মাহিন্দ্রায় বরিশাল পৌঁছায়। বরিশাল থেকে শনিবার সকালে কুষ্টিয়ায় নিজ গ্রামে চলে যায়। তবে জলিলের ভাষ্যমতে, প্রাণে মারার জন্য ইতির শরীরে পেট্রোল ঢালেনি। শুধু ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি ।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে ইতির বাবা মন্নান খান বাদী হয়ে দুমকি থানায় জলিলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রোববার জলিলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।