বরগুনা প্রতিনিধি
রাত আড়াইটা। বাইরে লোকজনের পায়ের শব্দ। কিছুক্ষন নিরবে থাকার পরে হঠাৎ বসত ঘরের টিনের চালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পাশের একটি গরুর ঘরে চারটি গরু হাম্বা হাম্বা করে জোরে জোরে ডাকছে। এসকান্দার ও ইব্রাহীমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরই মধ্য আগুনের লেলিহান শিখা সমস্ত ঘরে প্রবেশ করে। আগুনে পুড়ে যায় সমস্ত বসত ঘর।
এ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত আড়াইটায় বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে গাবতলী গ্রামে।
জানা যায়, ঘর মালিক এসকান্দারে প্রতিবেশী সোবহান, সজিব, জাহিদ ও সোহাগের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের জমাজমি নিয়ে বিরোধ। মঙ্গলবার বিকালেও সালিশ বৈঠক হয় এসকান্দারের সঙ্গে সোবহানের। সেই সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনি সোবহান গ্রুপ। বৈঠকে সোবহান এসকান্দারকে ধমকিয়ে যায়। এর আগেও সোবহানের বিরুদ্ধে এসকান্দার আদালতে মামলাও করেছে। এসকান্দার বলেন, গরমের মধ্য গভীর রাতে ঘুমাবার চেস্টা করছি। এমন সময় ঘরের বাইরে লোকের পায়ের শব্দ কানে ভেসে আসে। মাঝে মধ্য টর্চের আলো জ্বালিয়ে দেখি। রাত আড়াইটার দিকে ঘরের সামনের চালে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। পাশের একটি গরুর ঘরে চারটি গরু বাধা। গরু জোরে জোরে হাম্বা হাম্বা ডাকছে। আমরা দৌড়ে বাইরে নেমে দেখি ওই লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আগুনে গরু পুড়ে যাচ্ছে। দ্রুত গরুর ঘর খুলে দেই। প্রতিবেশীরা বরগুনা থানায় ফোন দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আমার বাড়ীতে পৌছার আগেই সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। আমার কিছু নেই। ঘর, নগদ টাকা, চাল ডাল আসবাবপত্র সব মিলে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসকান্দারের ছেলে ইব্রাহীম বলেন, পাশে আমার বসত ঘরটিও পুড়ে ছাই হয়েছে। পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছু আমাদের নেই। বরগুনা থানার অফিসার ইন চার্জ আলী আহম্মেদ বলেন, আমার কাছে আসছিল। আমি মামলা লিখে আনতে বলেছি। এরপর থানায় আসেনি। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।