ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও ময়মনসিংহের ভালুকায় আমিরাত স্পিনিং মিলস লিমিটেড নামে এক কোম্পানির মালিক কর্তৃক রাতের আধাঁরে হারুন নামে এক কৃষকের কোটি টাকা মূল্যের ফসলি জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের দেলিয়াপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় জমির মালিক বাদি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানাযায়, আমিরাত স্পিনিং মিলস লিঃ এম মালিক মাসুদ রানা ফকির ও রেজাউল করিম বিগত ১৫ জানুয়ারী ২০২০ইং সালের ধলিয়া দেয়ালিয়াপাড়ার সূর্য্যত আলী শেখের ছেলে হারুন মিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন দাগে এক একর ফসলি জমি ৮৫লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে নগদ ৩০লাখ টাকা দিয়ে একটি মৌখিক বায়না করেন। বাকী টাকার জনতা ব্যাংক, ঢাকা দিলকুশা কর্পোরেট শাখার একটি চেক দেন। কিন্ত বায়নার নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পর হারুন মিয়া তার জমি টুকু দলিল করে নেয়ার জন্য কোম্পানির মালিককে বার বার তাগিদ দেন। কিন্ত সেই জমির নিবন্ধিত দলিল না করেই গত ২৮মে রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন কোম্পানির মালিকের স্থানীয় কেয়ারটেকার সোহেলের নেতৃত্বে ১৫/২০জন সশস্ত্র লোক নিয়ে হারুন মিয়ার ৬৩.৫০শতাংশ জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে পিলার পুঁতে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার ওই জমি দখলের চেষ্টা করে মিল মালিকের লোকজন।কোম্পানির মালিকগন জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করায় হারুন মিয়া ময়মনসিংহ ম্যাজিস্টেট কোর্টে গত ১৫.০৩.২০২১ইং তারিখ একটি মামলা করেন যার নং ৪৬৯/২০২১ইং। পরবর্তীতে গত ২১.০৩.২০২৩ইং তারিখ ওই কোর্টে আরও একটি মামলা করেন যার নাম্বার ৪৯৮/ ২০২৩ ইং । ওই জমিতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে হারুন আরও একটি মামলা করেন যার নাম্বার ১২৫/২০২৩ইং তারিখ ২৯.০৬., ২০২৩ইং। মামলার খবর পেয়ে কোম্পানির মালিক পক্ষ বেপরোয়া হয়ে ওই জমিতে জোরপূর্বক টিনের বেড়া দেয়া শুরু করেন।
জমির মালিক হারুন মিয়া জানান, আমার জমি যাতে বেদখল না করতে পারেন তাই আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছি। মামলার শুনানির তারিখ আগামী ৮ জুন। আদালত উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর আগেই গত ২৮মে রাতের আঁধারে টিনের বেড়া দিয়ে তার ৬৩.৫০ শতাংশ জমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। গত বোরো মওসুমেও ওই জমি হতে আমি ৩০মনের উপরে বোরো ধান মাড়াই করেছি। এ ব্যাপারে কোম্পানির স্থানীয় কেয়ারটেকার সোহেল মিয়া জমি রেজিস্ট্রি না করে পিলার পুঁতে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে জানান, হারুন মিয়া জমি বিক্রির জন্য কোম্পানীর কাছ থেকে বায়না হিসেবে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তিনি জমি রেজিস্ট্রি দিতে তালবাহানা করছেন। তাই তারা পিলার পুঁতে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।ওই জমিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।