1. admin@totthoprokash.com : akas :
  2. akaskuakata1992@gmail.com : Mehedi Hasan Sohag : Mehedi Hasan Sohag
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কলাপাড়ায় দখলমুক্ত হলো খাস পুকুর জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় র‍্যালী ও আলোচনা সভা। বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কুয়াকাটা পৌর বিএনপি’র আলোচনা সভা। কুয়াকাটায় নদ নদী ও পরিবেশ বিষয়ক মতবিনিময় সভা। ঝালকাঠিতে মৎস্য দপ্তরের অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ বরিশালে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। মহিপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত অবশেষে বলাৎকারের অভিযুক্ত সেই হাফেজ সেলিম গাজী র‌্যাবের হাতে আটক সাপাহারে আম শেষে মালটার দখলে বাজার বরিশালে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত বরিশালে জাতীয় কবির ৪৭ তম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।

মির্জাগঞ্জে ইউপি সদস্য সরোয়ার শালিশ করতে গিয়ে নারীকে মেরে জখম।

  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২
  • ৭৪ বার

এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে নাটকীয় সালিশ বৈঠক সাজিয়ে সুমনা আক্তার (৪০) নামের এক নারীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মেরে শারীরিক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার সরোয়ারের বিরুদ্ধে।

গত শনিবার (৩০-জুলাই-২০২২ ইং) তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

এবিষয় ভুক্তভোগী সুমনা আক্তার প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সালিশির নাকট সাজিয়ে আমার স্বামী নয়ন মাঝিকে অপমানজনক কথা বার্তা ও মারধর করে। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারধর করে হাত মোচর দিয়ে জোরে ধাক্কা মারলে দেয়ালের সঙ্গে লেগে মাটিতে পড়ে যাই। এতে হাতের কবজি সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে অন্যান্য সালিশিদের উপস্থিতি থানায় এসে মৌখিকভাবে জানালে তারা সব শুনে চিকিৎসার জন্য হসপিটাল পাঠিয়ে দেন।

এবিষয়ে আহত সুমনার স্বামী নয়ন মাঝি বলেন, গত ২৮’জুলাই প্রতিপক্ষ সোহরাব মাঝি ও তার স্ত্রী সালমা বাড়িতে আগত অতিথিদের গরু বলে কুরুচিপূর্ন ভাষা ব্যবহার করে এবং সোহরাব মাঝির ছেলে ফয়সালসহ বেশ কয়েকজন নয়ন মাঝি ও তার মেয়ে সুরমাকে মারার উদ্দেশ্য বাড়ির সামনে দেশিও অস্ত্র সহ পথরোধ করে। এসময় ডাক চিৎকার করলে তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এবিষয়ে গত ২৯’জুলাই সরোয়ার মেম্বারের কাছে সালিশ ব্যবস্থার জন্য গেলে তিনি পরে দেখবেন বলে জানিয় দিয়ে ঘটনার দিন শনিবার ৩০-জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার সময় হঠাৎ সরোয়ার মেম্বার সালিশ করে দিবেন বলে আমাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। এসময় মাখন গাইন, রাসেল খাঁন ও সুমন মাঝি সালিশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সালিশীগনের উপস্থিতিতে এক পর্যায় পূর্বের ন্যায় প্রতিপক্ষ সোহরাব মাঝি মেম্বারের সম্মুখে আমার কন্যা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালমন্দ দেয়। এ সময় মেম্বার সরোয়ার মেম্বার তাদের সঙ্গে মিলে মারধর করার জন্য উসকানি দেয়। এবং মেম্বার সরোয়ার নিজের মুখে অশ্লীল ভাষা ও নারীকে মারধর করে আহত করেন।এছাড়াও অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানার সম্মুখে নানান ভাবে গালাগালি ও হুমকি ধামকি দেয় এমনকি হসপিটালের সামনে গিয়ে ও হুমকি দিয়ে এসেছে বলে জানান। একজন মেম্বার হয়ে কিভাবে অন্য নারীর গায়ে হাত দেয় এঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী নয়ন মাঝি তার মেয়ে (১৫),এবং আহত সুমনা আক্তার। ভুক্তভোগী সুমনা আক্তার আরও বলেন, হসপিটালের সামনে এসে মেম্বার সরোয়ার আমার স্বামী ও আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে গেছে এখন আমার মেয়েকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছি।যে কোনো মুহূর্তে মেম্বার ও তার বাহিনী আমার মেয়ের সর্বনাশ করতে পারে। মারামারির এই ঘটনাটি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।

এবিষয়ে মেম্বার সরোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারো গায়ে হাত তুলিনি। সালিশিতে দু-পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। সে সময় একটু রাগ করে দু একটা খারাপ ভাষা বলেছি এবং সালিশ পরে হবে বলে চলে আসতে চেয়েছি। এসময় নয়নের স্ত্রী সুমনা আমাকে জড়িয়ে ধরে পথরোধ করলে হালকা শক্তি দিয়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেই। এতে কোন প্রকার আহত হওয়ার কথা না। একজন তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে তাতে তার কিছু হয়নি। আপনারা সাংবাদিক তদন্ত করে দেখেন যদি সত্যতা পান লিখুন।

এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. নাসির বলেন, এবিষয়ে কোন পক্ষই আমাকে বলেনি। একজন ইউপি সদস্য সে তার বিধিমালা অনুযায়ী সালিশ বৈঠক করতে পারবে তবে কোন নারীকে মারধর করলে সেটা অপরাধ ঘটনা জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার তালুকদার বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে ঝামেলা নিয়ে বিগত দিনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। তবে ইউপি সদস্য কোন নারীকে মারধর এর ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। শুনেছি তারা আদালতে গেছে। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

সোসাল মিডিয়ায় সেয়ার করুন।

এ জাতীয় আরো খবর।
এই সাইটের কোন নিউজ/অডিও/ভিডিও কপি করা দন্ডনিয় অপরাধ।