কে এস এম আরিফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করে অসত্য ও বানোয়াট তথ্য প্রদান করে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে রোজিনা আক্তারের প্রতিবাদ লিপি।
মঙ্গলবার (১০ই মে) উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী উপজেলার পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান এর স্ত্রী রোজিনা আক্তার।
আমি একজন আইন মান্যকারী নিরীহ গৃহিণী। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আমার এলাকা থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেম্বার পদে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলাম। আর এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে একটি প্রভাবশালী কুচক্রী মহল আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাবিধ সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য লিপ্ত রয়েছে। আর আমাকে নানানভাবে হুমকি প্রদান করার প্রেক্ষিতে মৌলভিবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে আমি বাদী হয়ে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। আমি আপনাদের কাছে আকুল আবেদন আপনারা সত্য ঘটনা কি তা জানতে সচেষ্ট থাকবেন। আর আমি গণমাধ্যমকর্মী ভাইদের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করার নিমিত্তে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
কারা এমন করছে জানতে চাইলে এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের রোজিনা আক্তার বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের মৃত: মোঃ আব্দুস সাত্তার এর পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আমার পূর্ব পরিচিত। তাই গত জানুয়ারি মাসে আব্দুল্লাহ আমাকে জানায় তার বাসায় একজন কাজের মেয়ে প্রয়োজন। আর পূর্বপরিচিত হিসেবে বিশ্বাস করে আমি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার রেলওয়ে স্টেশন এলাকার মিনারা আক্তারের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে আবদুল্লাহর বাসায় কাজে নিয়োগ করি। এরপর থেকে আজ অবধি বৃষ্টি আক্তার নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে বৃষ্টির মা মিনারা বেগম শ্রীমঙ্গল থানায় মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে বলে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আর এই অভিযোগ সাক্ষী করা হয় আমাকে। তাই এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আব্দুল্লাহ। তিনি আমাকে নানানভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে থাকেন।
এরই মধ্যে গত ৬ই এপ্রিল শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে একটি সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও আপত্তিকর বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে। আমার পাওনা টাকা আত্মসাৎ সহ সমাজে দীর্ঘদিন ধরে অর্জিত আমার ও আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এবং ঐ বৃষ্টি নামক মেয়েটিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন ঘটনা থেকে রেহাই পেতে আব্দুল্লাহ পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের অসত্য ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এবং একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে। আর তার এসব অসত্য ও বানোয়াট অভিযোগের কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি এখন পর্যন্ত।
আপনারা আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পারবেন এই আব্দুল্লাহ এর সামাজিক অবস্থা কেমন ও ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় এবং আদালতে একাধিক মামলা সহ অসামাজিক বিভিন্ন বিচারে তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। বর্তমানে এই ঘটনায় এলাকার চেয়ারম্যান ও এলাকার লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলে তার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাবে।