নিউজ ডেস্ক
জলদস্যুদের গুলিতে জেলে নিহত, আহত ৫০ এর অধিক
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার বহরে ভারতীয় জলদস্যুদের গণডাকাতির সময় গুলিতে পাথরঘাটার মুছা নামের এক জেলে নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ৫০ এর অধিক জেলে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গাঙ্গের আইনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে জেলের মরদেহ পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হয়। নিহত মুছা পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে।
এফবি বাবুল ট্রলারের মাঝি ও মালিক বাবুল মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তারা ৪টি ট্রলার এক সাথে সাগরে জাল ফেলার জন্য যাচ্ছিল। এ সময় লাল রংয়ের একটি ট্রলারে করে ২০/২৫ জনের ভারতীয় একটি জলদস্যু বাহিনী এসে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এসময় ৪ ট্রলারে ৬৩ জন জেলে আহত হয়। জলদস্যুরা ট্রলারের যন্ত্রাংশ, মাছ ও রসদ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় বন্দুক দিয়ে ট্রলারের গুলি চালালে মাথায় গুলি লেগে ওই জেলে নিহত হয়। আহত জেলেদের পাথরঘাটা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ডাকাতি হওয়া ট্রলারগুলো হচ্ছে- এফবি আনোয়ার, এফবি বাবুল, এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি সাত তারা। জেলেরা জানান, ভারতীয় জলদস্যুদের সাথে সাতক্ষীরা জেলারও কিছু জলদস্যু রয়েছে।
জেলের বাবা হারুন মিয়া অভিযোগ করেন, আমার ছেলে জলদস্যুর গুলিতে নিহত হওয়ার পর আইনের কাছে কোন সহযোগিতা পাইলাম না। ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে পাথরঘাটা থানায় গেলে ওসি বলে, ডাকাতির ঘটনা আমার এরিয়ার মধ্যে পড়ে নাই। আমি কিছু করতে পারবো না। মোংলা থানার ওসি বলে, এই মৃত্যু দেখবে পাথরঘাটা থানা। আমার এই থানায় মামলা নেয়া হবে না। এই দুই থানার টানাহেচরার কারণে আমার ছেলের মরদেহ আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই দাফন করার ব্যাবস্থা করছি।