নিউজ ডেস্কে তবুও ফুরায়নি ঐশ্বরিয়ার আবেদন
সালটা ১৯৯৪, ভারত পেয়েছিল তার প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’। তিনি ঐশ্বরিয়া রাই। সে বছর অবশ্য ‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে পারেননি তিনি। ভারত সুন্দরী হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। ‘মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার আগে নব্বইয়ের দশকের শুরুতে একটি বিজ্ঞাপন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তাকে সবাই ওই ব্র্যান্ডের নামেই চিনতেন।
এরপর বলিউডে যাত্রা। এলেন এবং জয় করলেন। সোমবার ৪৮ বছরে পা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবু আজও ফুরায়নি তার আবেদন। এখনও তিনি দর্শকমহলে সমান জনপ্রিয়।
‘মিস ওয়ার্ল্ড’ বিজয়ী হওয়ার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ঐশ্বরিয়াকে। না, বছরে তিনি একাধিক ছবি করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অ্যাক্টিভ নন। এমনকি নানা ইভেন্টেও তাকে তেমন দেখা যায় না। তাও তিনি যতবারই লেন্সবন্দি হন ততবারই তার প্রেমে পড়েন ভক্তরা। আভিজাত্য আর আধুনিকতার প্রতিমূর্তির অন্যনাম ঐশ্বরিয়া রাই।
সঞ্জয় লীলা বানশালির ‘হাম দিল দে চুকে সানম’ ছবিতে প্রথমবার নজর কেড়েছিলেন ভারতের অন্যতম এই সেরা সুন্দরী। এরপর সুভাস ঘাইয়ের পরিচালনায় ‘তাল’। ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন ছবি। নব্বইয়ের দশকে যখন পর্দায় রাজ করছেন শাহরুখ খান, তখন তার বোনের চরিত্রে অভিনয় করার সাহস দেখিয়েছিলেন এই ঐশ্বরিয়াই। ছবির নাম ছিল ‘জোশ’।
সে সময় অনেকেই ঐশ্বরিয়ার নায়িকা হিসাবে ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু ‘দেবদাস’ ছবির মাধ্যমে তিনি ভুল প্রমাণ করে দেন সমালোচকদের। শাহরুখের নায়িকা হিসাবে টেক্কা দেন অনেক নায়িকাকে, সে সময় যাদের সঙ্গে শাহরুখ খানের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি ছিল সত্যিই নজরকাড়া।
বর্তমানে ঐশ্বরিয়া বলিউডের বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ। বিয়ে করেছেন মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের একমাত্র ছেলে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে। তাদের একটি কন্যাসন্তান, নাম আরাধ্যা। ২০০৭ সালে অভিষেককে বিয়ের পর থেকে খুব কমই রুপালি পর্দায় দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে। তাই বলে তার আবেদন ও জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি