আবুল হাসান নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরগুনার তালতলীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে, সরকারি খাজনা থেকে শুরু করে হোল্ডিংসহ বিভিন্ন কাজের জন্য নানা অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কড়ইবাড়িয়ার ভূমি অফিসের সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
জান গেছে, ছোটবগী ইউনিয়নের আলি হোসেন হেলেঞ্চাবাড়িয়া মৌজায় তার এবং বোনদের নামে ৩টি হোল্ডিং খুলতে এবং খাজনা পরিশোধ করতে গেলে ১.২৪ শতাংশ জমিতে এ কর্মকর্তা ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি গতবারের খাজনা পরিশোধ করেছে জানিয়েও কোনো কাজে আসেনি। নিরুপায় হয়ে আলি হোসেন কিছুটা টাকা কমিয়ে রাখতে বলায় তহসিলদার তার উপর রেগে গিয়ে বলে এটা কি চিংড়ি মাছের বাজার পেয়েছেন? যে দরদাম করছেন? টাকার অভাবে মাত্র ১টি হোলডিং খুলে নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ফেরে তিনি।
অন্যদিকে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের আলির বন্দর গ্রামের আ:মজিদ হাং (৬০) জানায়, আমি সরকারি খাজনা পরিশোধ করতে এসে বিপাকে পরেছি। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা যে টাকা চাচ্ছেন তাতে আগে জমি বিক্রি করে তার পরে খাজনার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও এই কর্মকর্তা আংশিক খাজনা নিতে অস্বীকার করেন বলেও একাধিক ব্যক্তিরা জানায়।
স্থানীয়রা বলেন,বর্তমানে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।তবে এখানকার অফিসারের চাহিদা যে মিটাতে পারে তাকে আর হয়রানির শিকার হতে হয় না। আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।
এবিষয়ে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) জসিম উদ্দীন জানায়, অতিরিক্ত অর্থের ব্যপারে আমার উর্ধতন কতৃপক্ষ জানে। এব্যপারে আমাকে আর প্রশ্ন করবেন না।
এবিষয়ে তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস পাল জানায়, এবিষয়ে আমি অবগত নই। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অতিরিক্ত অর্থাদায়ের অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।