মোঃ জাহিদ, কুয়াকাটা,সংবাদদাতাঃ
মহিপুরে প্রভাবশালী ভূমি দস্যুদের নির্যাতন অব্যহত
নিঃস্ব বারেক’র পরিবার মহিপুরের ধূলাসার ইউনিয়নের বাসিন্দা আঃ বারেক হাওলাদার। গত ১৯ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে তিনি জানান, দীর্ঘ বছর ধরে জে এল নং ৩৮, সোনা পাড়া মৌজা, এস এ ১৮৭/১নং খতিয়ানের ২৮৩৪ নং দাগের ৭.০১ একর ভূমিতে মাছের ঘের ও বসত ভিটা তৈরীর মাধ্যমে বসবাস করে আসছে। ভূমি দস্যুরা বারেকের নীরিহ পরিবারদের উপর শারীরীক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাবিধ হয়রানীর মধ্যদিয়ে মাছের ঘের দখলে নেয়। ভূয়া জাল-জালিয়াতি দলিলের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর আদালতে মামলা চলে। নি¤œ কোর্টের রায় ও জজ কোর্টের রায় বারেকের পক্ষে থাকলেও ওই প্রভাবশালী ভূমি দস্যু ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মোনশাতলী গ্রামের নজরুল ও তার সহচারীদের এখনও প্রতিনিয়ত নির্যাতন সহ্য করতে হয় তাদের। প্রায় ১০/১২ বছর ধরে কখনো জোরপূর্বক জমি দখল, কখনো মাছ চুরি আবার কখনো মাছের ঘেরে ঔষধ দিয়ে ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বাড়ি ২৮/০৯/২০১৯ইং। অভিযোগের তদন্ত দিয়েছেন মহিপুর থানায়। মাছের ঘেরের পূর্ব পার্শ্বে একটি বাড়ি রয়েছে যেখানে ভিটি ও কয়েকটি রেন্টি গাছ রয়েছে। ভূমি দস্যু নজরুলেল দাবী ওই বাড়ি তিনি নির্মান করেছেন এবং সানু নামের এক ব্যাক্তিকে সেখানে কেয়ারটেকার হিসাবে রেখে ছিলেন। কিন্তু সে ঘটনার আলোকে সরেজমিনে তদন্তে গেলে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাড়িটি বারেক হাপওলাদারের পুত্র বশির হাওলাদারের। যা ১৫ই নভেম্বর ২০০৭ সালের প্রলংকারী ঘূর্নিঝড় ডিসডরে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছিলো এবং তৎকালীন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারদের সরকারের দেয়া ত্রান সামগ্রী ও ঘর মেরামত বাবদ ৫ হাজার টাকা সহযোগিতা পেয়েছিলো। তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের প্রত্যয়নপত্র প্রমাণ করে কিন্তু ভূমি দস্যু নজরুলের দেয়া তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমানিত হয়।
ভূমি দস্যু কর্তৃক নির্যাতিত পরিবার বারেক হাওলাদার আরো জানান, ভূমি দস্যু নজরুল যে জমি দাবী করে তা ভিন্ন মৌজায়। জমির মৌজা ভিন্ন ভিন্ন থাকা সত্যেও জোর যুলুম অত্যাচার অনাচার তাদের পরিবারটি বর্তমানে একে বারে নিঃস্ব করে ফেলছে। এ থেকে নিস্তার পেতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদয় দৃষ্টি ও ন্যায়পরায়ন হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। যাতে চাষাবাদ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বাকী জীবনটুকু শান্তি পূর্ন বসবাস করতে পারেন তার জন্য জোর আরজী জানান।
এ ব্যাপারে নজরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জমি তাদের তারা ওখানে জামি পাবে। জমি নিয়ে আদালত চলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই সাইদুল ইসলাম জানান, তার নিখুত তদন্ত চলছে, তবে স্বঠিক প্রতিবেদন দিবেন তিনি।
##