হিংসা-প্রতিহিংসা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কল্যাণকর নয় : মোস্তফা: বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হিংসা-প্রতিহিংসা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কল্যাণকর নয়। যে রাজনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রে হিংসা আর প্রতিহিংসার জন্ম দেয় সেই রাজনীতির ফলাফল কখনো শুভ হতে পারে না। “প্রতিহিংসা মুক্ত রাজনীতি না করলে সমাজের উন্নতি মিলবে না” রাজনীতি সমাজের অংশ, প্রতিহিংসার রাজনীতি সমাজের জন্য ধংস। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে না আসলে সমাজের উন্নতির প্রত্যাশা করা যাবেনা।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র কিংবা জনগণের কল্যাণ আসবেনা, তাই আগে আমাদের ব্যক্তিগত রাজনীতি স্বার্থ, নেতার স্বার্থ, দলের স্বার্থ, ক্ষমতার স্বার্থ থেকে বের হতে হবে, তাহলেই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসবে । রাজনীতির মৌলিক কথা বাস্তবায়ন হলে সুশীল রাষ্ট্র – সমাজ গঠনে বেশ ভূমিকা রাখবে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম।
তিনি আরো বলেন, আমাদের রাজনৈতিক নীতিমালার ভিত্তি যতটা না আদর্শ, তার চেয়ে বেশি স্বার্থ ক্ষমতা টিকিয়ে থাকার লড়াই করা, যার ফলে রাষ্ট্র সংকটে পরে, এর জন্য রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ও একভাবে দায়ী হতে হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা ঝিযার সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানোর সকল ব্যবস্থা করবেন বলে দেশবাসী আশা করে।
বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীবের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. শহীদ মঞ্জু, নাগরিক ভাবনা আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, এফডিপি চেয়ারম্যান ড. এ আর খান, এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, অধ্যাপক বশির আহমেদ, মো ইয়াসির আখতার, মো শরিফুল ইসলাম, এস এম আমানুল্লাহ, মো. এমদাদুল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব বলেন, পৃথিবীর সকল মানুষ হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অন্তত একটা দিন অতিবাহিত করলে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের যুুগের আগমন ঘটবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
‘মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য’ এমন মন্তব্য করে রাজীব খান বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
এফ. আহমেদ খান রাজীব আরো বলেন, বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষে গত বছর প্রথম ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা করছি।