শাহাদাত চৌধুরী রিপোর্ট : রাজশাহী মহানগরীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদানের অভিযোগে যুবককে গ্রেফতার করেছে আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন, ফখরুল ইসলাম (২৭)। সে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কাকুড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিৎ করেন কাশিয়াডাংঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ পারভেজ।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, রাজপাড়া থানা এলাকার এক মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীর (১৮) সাথে আসামী ফখরুল ইসলামের মোবাইলের রং নাম্বারের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ আসামী ফখরুল রাজশাহী এসে সোনিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সিলেটে তার ফুফুর বাড়ী নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সোনিয়া জানতে পারে মোবাইল ফোনে ফখরুলের দেওয়া পারিবারিক তথ্য গুলো ছিল মিথ্যা।
এ বিষয়ে ফখরুলের সাথে সোনিয়ার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তখন হতে আসামী ফখরুল সোনিয়ার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। বিষয়টি সোনিয়া তার পরিবারকে জানায়। এরপর সোনিয়ার পরিবার তাকে বাড়ীতে ফিরিয়ে আনে এবং সোনিয়া ফখরুলের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
এদিকে প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন আসামী ফখরুল তার মোবাইল ফোনে তোলা সোনিয়ার বিভিন্ন ছবি ও হোয়াটস অ্যাপ-এ সোনিয়ার সাথে কথা বলার সময় আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে।
গত ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখ আসামী ফখরুল তার মোবাইলে ধারণ করা সোনিয়ার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোনিয়ার আত্বীয়-স্বজনদের নিকট প্রেরণ করে এবং বলে, সে যদি তার সাথে সম্পর্ক না রাখে তাহলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। উক্ত অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলার পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা বিভাগ) মনিরুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজের নেতেৃত্বে এসআই জীবন চন্দ্র বর্মন ও তার টিম আসামীর অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে গত ১৮ এপ্রিল ২০২২ দুপুর দেড়টায় গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কাকুড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ফখরুলকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামীর কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। যাতে সোনিয়ার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।