1. admin@totthoprokash.com : akas :
  2. akaskuakata1992@gmail.com : Mehedi Hasan Sohag : Mehedi Hasan Sohag
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কলাপাড়ায় দখলমুক্ত হলো খাস পুকুর কলাপাড়ায় দুই ফার্মেসী ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা গোয়াইনঘাটে সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার দুই সাংবাদিক। ময়মনসিংহের ভালুকা ২১ মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২৪ জন পীরগঞ্জে পিতার ইচ্ছা পুরণ করতে গরু ও মহিষের ১০টি গাড়িতে বরযাত্রা ! বাউফলে সেই শ্বশুর বাড়ি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া জামাইয়ের হত্যার রহস্য উদঘাটন, মা’য়ের মামলা ময়মনসিংহ ভালুকায়জমি জবর দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যে বিরুদ্ধে অথপর আটক ময়মনসিংহে সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠক।। কারাভোগ শেষে এক ভারতীয়কে ফেরত পীরগঞ্জে ৩ সাংবাদিকে প্রাণ নাশকের হুমকি
বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।

জগন্নাথপুরে স্কুল ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে যৌন হয়রানি: শিক্ষককে গণধোলাই

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২
  • ৩১৮ বার

রনি মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামাগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রাইভেট পড়ানোর নামে স্কুল ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে জনতার হাতে গণধোলাই’র শিকার হয়েছেন কলকলিয়া ইউনিয়নের হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাশ।
তিনি উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোয়াগ্রাঁও গ্রামের বিরেন্ড কুমার দাশের ছেলে।
জানা গেছে, শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাশ দীর্ঘ দিন ধরে প্রাইভেট পড়ানোর নামে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন।
তিনি জগন্নাথপুর পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসুদেব বাড়ী এলাকার এলকাছ মিয়ার বাসায় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে উক্ত বাসায় এলাকার ষষ্ট ও অষ্টম- নবম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীকে পাইভেট পড়ান।
অভিযোগ রয়েছে, সহকারি শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাশ পাইভেট পড়ানোর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে অভিভাবকরা বিষয়টি জেনে ফেললে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে শুক্রবার(২৭ মে) সকালে অভিভাবকরা বিষয়টি শিক্ষককে জিজ্ঞেস করতে গেলে, তিনি তাদের সাথে অশোভন আচরণ করলে উপস্থিত জনসাধারণ ও অভিভাবকদের হাতে তিনি লাঞ্ছিত হন।

এক ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন,আমাদের পড়া শেষ হলে স্যার বিভিন্ন সময় আমাকে বলেন তুমি বসে থাকো। তোমার আরেকটি এ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে, এরকম বলে আমাকে পড়া দেখান এবং আমার শরিরে হাত দেন।আমি এর প্রতিবাদ করলে স্যার আমাকে ধমক দেন।
শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে আরও অনেকেই বলেন স্যারের নজর খারাপ ছাত্রীদের দিকে কু-নজরে তাকিয়ে থাকেন। মান সম্মান ও লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে আমরা বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেছি। শিক্ষকের কাছ থেকে এসব নোংরামি আশা করিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিজয় কৃষ্ণ দাশ বলেন আমার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ মিথ্যা, আমি কখনো ছাত্রীদের শরিরে হাত দেইনি।

ব্যবসায়ী রুহেল মিয়া জানান শিক্ষকের বিষয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির খবর অনেক বার শুনেছি, আজ সকালে অনেক ছাত্রীদের অভিভাবক এসে শিক্ষক নামের সেই বদমাইশকে গণধোলাই দিয়েছে।
জগন্নাথপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ চান মিয়া বলেন শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে আমরা লজ্জিত। একটি অমানুষ কখনো মানুষকে শিক্ষা দিতে পারেনা। তার এহেন কর্মকান্ডের বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ বলেন শিক্ষককে গণধোলাই দেওয়ার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনা এলাকাবাসীকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস বলেন এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি প্রতি বৃহস্পতিবারে বাসায় চলে আসি।
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) সুশাংকর বলেন এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোসাল মিডিয়ায় সেয়ার করুন।

এ জাতীয় আরো খবর।
এই সাইটের কোন নিউজ/অডিও/ভিডিও কপি করা দন্ডনিয় অপরাধ।