আব্দুস সালাম রুবেল স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুর রশিদ নামে এক খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার (১২ই মে) বিকেলে সদরের রুহিয়া চৌরাস্তা মোড়ে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।
ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন চলাকালে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, জেলার হরিপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে থাকাকালীন অবস্থায় কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ আভ্যন্তরীন খাদ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের নামে ব্যবসায়ি ও কৃষকদের নিকট ধান চাল গম সংগ্রহ করার নামে বস্তা প্রতি ৩০-৫০ টাকা হারে ঘুষ আদায় করেন।এছাড়া সংগ্রহকৃত চিকন চাল একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে রাতের আধারে বাইরে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ অবস্থায় চালের ঘাটতি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী হরিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্মনকে প্রধান করে পীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিয়াউল হক শাহ ও কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক মো: জুলফিকার আলী সহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি সরজমিনে ওই খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করলে গুদামের ভেতর চাল না থাকার সত্যতা পায়। তদন্তকালীন সময়ে ৮৪ বস্তা চাল কম পায়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায়। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহকালে তার পছন্দের ব্যবসায়ীদের নিকট নিম্ন মানের ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল কিনেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম ওই কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর মহোদয় সমীপ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে তাকে চাকুরি হতে সাসপেন্ড বা অপসারণ করার কথা। কিন্তু অপসারণের পরিবর্তে তাকে রুহিয়া খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলী করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল ইসলাম সাক্ষরিত এক পত্রে আব্দুর রশিদকে রুহিয়ায় বদলীর আদেশ দেওয়া হয়।
আর ওই কর্তকর্তাকে রুহিয়া খাদ্য গুদামে বদলি করায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা তাকে এ গুদামে দেখতে চান না বলে অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।