অভিযোগকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আযহা’র উপলক্ষে সরকারের দেওয়া হত-দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (০৭ ও ০৮ জুলাই ) বুড়াবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খন্দকার এরশাদ এর উপস্থিতিতে চাল বিতরণের সময় এ অনিয়ম করা হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে বুড়াবুড়ী ইউনিয়নে সরকার ঘোষিত প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও চাল দেওয়া হয়েছে ৭/৮ কেজিরও কম। এছাড়াও চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকজনকে বাছাই করে জনপ্রতি ৩-৪টি স্লিপের চাল বিতরণ করা হয়।তাছাড়া, প্রকাশ্য VGF এর স্লিপ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যান এর সহযোগী ছোট এরশাদ এর বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, চেয়ারম্যান তার পছন্দের লোকদের ৩-৪টি করে স্লিপ দিয়েছেন।তারা প্রকাশ স্লিপ বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় ধান ব্যাবসায়ীদের কাছে অথচ পাওয়ার যোগ্য যারা তাদের অনেককেই স্লিপ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা গেছে।
চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা চেয়ারম্যানকে বললেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যপারে বুড়াবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খন্দকারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।
পরবর্তিতে এর সাথে কথা বলে চেয়াম্যান এর ভাগিনা মিঠু তিনি বলেন, গোডাউন থেকে চাল দেওয়ার পর কিছু ঘটতি থাকে। তাই সাড়ে ৭/৮ কেজি করে দিতে বলেছেন। জনসংখ্যার তুলনায় চালের বরাদ্দ কম থাকায় অনেককে স্লিপ দিতে পরিনি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ জানান, ওজনে চাল কম দেওয়া লজ্জাজনক বিষয়। আমরা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে বলে সরকার কি চাল নিয়ে আসা,বিতরণ সবকিছুর খরচ দেয়?চাল আরো কম দিবো কার কি করার আছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অহিদুর রহমান ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন আহমেদ বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক।গরিবের চাল নিয়ে নয়ছয় আমরা মানতে পারি না। জাতির পিতার আদর্শের অনুসরণ করি তাই এর প্রতিবাদ করছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন আশা করি।