নাহিদ সরদার,
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সন্ধ্যানদীতে ঢাকাগামী মর্নিং সান-৯ লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় শ্রমিক কালামের (৬০) লাশ পরদিন উদ্ধার হলেও নিখোঁজের ৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি বাল্কহেডের সুকানী মিলন হাওলাদারের (৩৫)। তাদের দুজনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার নান্দুহার গ্রামে। দুর্ঘটনার পর থেকে মিলনের খোঁজে প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে।
এর আগে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে গত ৮ আগস্ট সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি (দাসেরহাট) এলাকায় সন্ধ্যানদীতে এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। নিখোঁজ হয় বাল্কহেডের দু’শ্রমিক কালাম ও মিলন। সংঘর্ষে লঞ্চের সামনের দিকের ডানপাশে পানির স্তরের কিছুটা উপরে ছিদ্র হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে স্থানীয় প্রশাসন রাতে ওই লঞ্চের যাত্রা স্থগিত করে।
দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে লঞ্চটি উজিরপুরের চৌধুরীর হাটে নোঙর করলে লঞ্চে থাকা আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার দু’শতাধিক যাত্রী নেমে গন্তব্যে চলে যায়। এরপর শতাধিক যাত্রী লঞ্চে অবস্থান করে।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের সন্ধান মিলেছে মসজিদবাড়ি গ্রামের একটি ইটভাটা সংলগ্ন সন্ধ্যানদীর পানির তলদেশে। ওই বাল্কহেডের ভেতর থেকে নিখোঁজ দু’শ্রমিকের মধ্যে কালামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজন বাল্কহেডের সুকানী মিলনের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে সংঘর্ষে এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের ছিদ্র হওয়া তলা সাময়িক মেরামত করে মঙ্গলবার সকালেই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে