এম.জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:: নাজিরপুরের জনগণ আমাকে হারায়নি, আমি ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে গেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের নেতৃত্বে নাজিরপুরের কিছু সন্ত্রাসী নৌকার বিরোধীতা করেছেন। নির্বাচনে বিভিন্ন বাঁধা সৃষ্টি করেছেন বলে বাউফলে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউপি উপ-নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে অলিখিত বক্তব্যে হেরে যাওয়া নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুক এ কথা বলেন।
ইব্রাহিম ফারুক আরও বলেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এস.এম মহসিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ৭১ সালের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মত তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। হামলা ভাঙচুর করা হয়েছে সাংবাদিক, সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারসহ ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ঘরবাড়ি। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, লুটপাট করা হচ্ছে। নৌকার কর্মীদের মামলা হামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন।
শনিবার (১০ই সেপ্টেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাজিরপুর বাংলাবাজার তার বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উৎসুক জনতার সাথে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় উৎসক জনতা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কিন্তু ওই মামলায় আওয়ামীলীগের অনেককে আসামী করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে নিদোর্ষ মানুষজন ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে নাজিরপুর ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগ সভাপতি শিরীন আক্তার মুক্তা বলেন, এলাকায় থাকতে হলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। সবুজ মৃধা নামের এক ব্যক্তি তার কাছে ফোন দিয়ে ওই দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজ মোল্লা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ-আলম মৃধা।