1. admin@totthoprokash.com : akas :
  2. akaskuakata1992@gmail.com : Mehedi Hasan Sohag : Mehedi Hasan Sohag
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কলাপাড়ায় দখলমুক্ত হলো খাস পুকুর গোয়াইনঘাটে সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার দুই সাংবাদিক। ময়মনসিংহের ভালুকা ২১ মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২৪ জন পীরগঞ্জে পিতার ইচ্ছা পুরণ করতে গরু ও মহিষের ১০টি গাড়িতে বরযাত্রা ! বাউফলে সেই শ্বশুর বাড়ি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া জামাইয়ের হত্যার রহস্য উদঘাটন, মা’য়ের মামলা ময়মনসিংহ ভালুকায়জমি জবর দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যে বিরুদ্ধে অথপর আটক ময়মনসিংহে সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠক।। কারাভোগ শেষে এক ভারতীয়কে ফেরত পীরগঞ্জে ৩ সাংবাদিকে প্রাণ নাশকের হুমকি নলিয়ানে কোস্ট গার্ডের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ
বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।

কলাপাড়ায় কৃষকদের মুখে হাসি আছে স্বপ্ন পূরণের আশা

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫৯ বার

রাসেল মোল্লা কলাপাড়া প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বলাপাড়া উপজেলায় মাঠ জুড়ে দোল খেলছে সোনালি ধান। কৃষকরা পাকা ধান ঘরে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কৃষক পরিবারের চোখে মুখে লেগে আছে স্বপ্ন পূরণের আশা। ১৫-২০ দিন পর গ্রামীণ জনপদে শুরু হবে ধান কাটা, মাড়াই ও নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোটা উপজেলায় দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে কৃষক পরিবার রয়েছে ৩৫৫০০। মোট জমি ৪৯২১০ হেক্টর। এ বছর ৩১২৪০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২২৫৫০ হেক্টরে মৌসুমি উফশী রোপা আমন ও ৮১৫০ হেক্টর জমিতে মৌসুমি স্থানীয় রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। এছাড়া সবজি চাষ করা হয়েছে ৫৪০ হেক্টর জমিতে। তবে ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ে কারনে ধানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ৯২১ হেক্টর। আংশিক ক্ষতি ৫% হারে সম্পুর্ন ক্ষতির পরিমাণ ৪৬.০৫ হেক্টর। এছাড়া সবজি ফসলে ৫৪ হেক্টর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০% হারে সম্পূর্ণ ক্ষতি ১০.০৮ হেক্টর বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ জুড়ে কাঁচা-পাকা ধানের ফসলি ক্ষেত যেন দিগন্ত ছুঁয়ে গেছে। কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হবে ধান তোলার পালা। ধান কাটার জন্য নতুন কাস্তে তৈরি করতে আছে অনেকে। কেউ আবার পুরাতন কাস্তে মেরামত করতে দিচ্ছে কামারের দোকানে। কেউ কেউ মেশিন দিয়ে ধান কাটার জন্য প্রস্ততি নিযে রেখেছে। অনেকেই ধান রাখার জন্য বাড়ির আঙ্গিনা সুন্দর ভাবে পারিস্কার পরিচ্ছন্ন করেছেন। গোটা উপজেলার কৃষকদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। তবে ফরিয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের আনাগোনা আর তৎপরতায় ফসলের কাঙ্খিত মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।

কৃষক সুলতান গাজী জানান, গত বছর প্রতি ২৬৬ শতক জমি চাষাবাদ থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত খরচ হতো ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ বছর একই জমিতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া বাজারের দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির কারনে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা মজুরিতেও শ্রমিক পাচ্ছেনা।

উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের কৃষক রুহুল মৃধা বলেন, ঘুর্নিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষেতের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। সার-ওষুধ প্রয়োগ ও ক্ষেতের নিয়মিত পরিচর্যা করে এ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে ফসল ভালো হবে।

নবীপুর গ্রামের কৃষক সোনা মিয়া বলেন, প্রথম দিকে বৃষ্টি না থাকায় জমিতে চাষ করতে একটু দেরি হয়েছে। তার পরও এ বছর ক্ষেতের ফসল ভাল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কৃষকদের আমন ধানের ক্ষেতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত ফসল সুন্দরভাবে কাটতে পারবে বলে তিনি জানান

সোসাল মিডিয়ায় সেয়ার করুন।

এ জাতীয় আরো খবর।
এই সাইটের কোন নিউজ/অডিও/ভিডিও কপি করা দন্ডনিয় অপরাধ।