1. admin@totthoprokash.com : akas :
  2. akaskuakata1992@gmail.com : Mehedi Hasan Sohag : Mehedi Hasan Sohag
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কলাপাড়ায় দখলমুক্ত হলো খাস পুকুর গোয়াইনঘাটে সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার দুই সাংবাদিক। ময়মনসিংহের ভালুকা ২১ মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২৪ জন পীরগঞ্জে পিতার ইচ্ছা পুরণ করতে গরু ও মহিষের ১০টি গাড়িতে বরযাত্রা ! বাউফলে সেই শ্বশুর বাড়ি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া জামাইয়ের হত্যার রহস্য উদঘাটন, মা’য়ের মামলা ময়মনসিংহ ভালুকায়জমি জবর দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যে বিরুদ্ধে অথপর আটক ময়মনসিংহে সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠক।। কারাভোগ শেষে এক ভারতীয়কে ফেরত পীরগঞ্জে ৩ সাংবাদিকে প্রাণ নাশকের হুমকি নলিয়ানে কোস্ট গার্ডের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ
বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।

সাপাহারে বিলুপ্তির পথে বাঁশ-বেতের কারুশিল্প

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪২ বার

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রাচীন শিল্পগুলো বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। যান্ত্রিক যুগে হারিয়ে যাচ্ছে নানান শিল্প ও শিল্পকর্ম।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাঁশ-বেতের কারুশিল্প।প্লাস্টিকের চোখ ধাঁধানো জিনিপত্রের দাপটে নওগাঁর সাপাহারে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতশিল্প। বর্তমানে বাঁশ-বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। যার ফলে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে প্রাচীন নিদর্শণ বাঁশ ও বেত শিল্প। একসময় মাঠে চাষ হতো বেত গাছ। অপরদিকে বাঁশঝাড়ের দেখা মিলতো বাড়ীর পাশে বা পরিত্যক্ত জায়গাগুলোতে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাসস্থান বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। ফলে বাঁশঝাড় গুলো কেটে সেসব পরিত্যক্ত জায়গায় বাড়ি বানিয়ে বসতি স্থাপন করা হচ্ছে। এ কারনে ঘাটতি হচ্ছে বাঁশের। এছাড়াও আগে যত্রতত্র ভাবে হামেশাই চোখে পড়তো বেতগাছ। সেই বেতগাছগুলো কেটে নানান রকমের বাহারী শিল্পকার্য মিশিয়ে তৈরী করা হতো সংসারের নানাবিধ প্রয়োজনীয় ও সখের জিনিসপত্র। পূর্বেরু সময়গুলোতে গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতেন। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত প্রায় সবখানেই চোখে পড়তো বাঁশ-বেতের তৈরী আসবাবপত্র। বর্তমানে সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে এসব চিরচেনা চিত্র। বাঁশ-বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

প্লাস্টিক ও অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই বললেই চলে। এছাড়াও পর্যাপ্তহারে বেতের চাষ না হওয়ায় কাঁচামালের ঘাটতির কারনেও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে এসব কুটির শিল্প। বাজার দখল করেছে প্লাস্টিক ও এ্যলুমিনিয়ামের তৈরী নানা জাতের আসবাব পত্র। প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষ চাহিদা হারিয়ে ফেলেছে এসব কুটির শিল্প হতে।
বয়স্করা বলছেন, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে চাষ হতো বাঁশ ও বেত। যা দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থালী ও সৌখিন আসবাব পত্র। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবনযাপন। তবে এখনো মাঝে মধ্যে গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খোল, চাটাই, খলুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ, ঝাড়নি, চালন ইত্যাদি চোখে পড়ে।
হস্তশিল্পের কদর কমে গেলেও বেড়েছে বাঁশের দাম। আর বেত তো চোখে পড়েনা বললেই চলে। যার ফলে বাঁশ ও বেতের তৈরী জিনিস পত্রের দাম স্বভাবতই একটু বেশি হবার ফলে ক্রেতাবিমূখ সময় পার করছেন বিক্রেতারা। অপরদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।

উপজেলা সদরে মহুরীপট্টি এলাকায় বাঁশের পণ্য কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, বাঁশ-বেতের জিনিস বর্তমানে তেমন কোন কাজে আসেনা। তবে একটি খইচালা কিনতে এসছেলাম। তবে এটির দাম শুনে তো কেনার সাধ হারিয়ে গেছে।

বাঁশ ও বেতের কারিগর নারান টপ্য বলছেন, বর্তমানে বেতের কাজ আর নেই বললেই চলে। তবে বাঁশের কিছু জিনিসপত্র বানাই। আর এগুলো বাজারে বিক্রি করতে আসলে ক্রেতা সংকটে পড়তে হয়। দাম বেশির কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বর্তমানে পূর্বের তুলনায় বাঁশের দাম বেশি হবার ফলে জিনিসের দাম একটু বাড়তির মুখে। আমরা কম দামে কাঁচামাল কিনতে পারলে আমাদের তৈরীকৃত জিনিসও কম দামে বেঁচতে পারবো।
বাঁশ ও বেতের পণ্য বিক্রেতা খগেন বলেন “বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র আর মানুষ কিনতে চায় না। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যাবসা করছি । এজন্য ব্যাবসা ছাড়তেও পাচ্ছি না।”

সবমিলিয়ে বাঁশ-বেতের জিনিপত্রের চাহিদা কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন সংকটে পড়েছেন কারিগররা অপরদিকে মানুষ হারাতে বসেছে প্রাচীন ঐতিহ্য। এভাবে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে গেলে আগামী প্রজন্ম এগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবেনা। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে বাঁশ-বেতের উৎপাদন বাড়িয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো টিকিয়ে রাখা হোক এমনটাই আশাবাদী সচেতন মহল।

সোসাল মিডিয়ায় সেয়ার করুন।

এ জাতীয় আরো খবর।
এই সাইটের কোন নিউজ/অডিও/ভিডিও কপি করা দন্ডনিয় অপরাধ।