মীর পিপুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট-১ আসন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে আজকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বিষয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছেঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা তথা “লালমনিরহাট-১” আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে একাধিক মনোয়ন প্রত্যাশী নেতার নামে গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলার আওয়ামী পরিবার ও জনগনের মতামত তুলে ধরে প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে। মনোনয়ন বিষয়ে সর্বমহলে আলোচনা করে প্রথমে যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটা হলো, চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন এমপি’র প্রতি অধিকাংশ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের একাংশের সমর্থন রয়েছে। তারা মনে করেন জাতীয়পার্টির দূর্গকে ভেঙ্গে মোতাহার হোসেনের হাত ধরে টানা চারবার এই আসনে নৌকা জয়লাভ করে আসছে, তার হাত ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হয়ে আসছে এবং আগামিতেও হবে। এবার যদি দল তাকে আবারো মনোনয়ন প্রদান করে তাহলে আওয়ামীলীগ সরকারের পরবর্তি সকল উন্নয়ন সঠিকভাবে জনগনের দোড়গোরায় পৌছাবে বলে সকলে বিশ্বাস করে। এ বিষয়ে মোতাহার হোসেনের বিকল্প হিসেবে কে আছে এমন প্রশ্ন করলে দলের নেতাকর্মী ও জনগনের মধ্য থেকে এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা, বর্তমান পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ও তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রুহুল আমীন বাবুল ও বর্তমান সংসদ সদস্যের পুত্র, বিশিষ্ট কূটনীতিক(বাংলাদেশ/তুরস্ক সমন্বয়ক) জনাব ইফতেখার মাসুদের নাম উঠে আসে। তারা বলেছে মোতাহার হোসেনের বিকল্প একমাত্র মোতাহার হোসেন নিজেই তবে সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এর খাতিরে দল যদি বয়স বিবেচনায় অন্য কাউকে বেছে নেয় তাহলে তারা অপেক্ষাকৃত তরুন এই দুই নেতার প্রতি আস্থা রাখে।
এ বিষয়ে অনেকেই মত দিয়েছে আলহাজ্ব রুহল আমীন বাবুল ছাত্ররাজনীতি করে আজকের এই পজিশনে এসেছেন, ছাত্রলীগে সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরবর্তিতে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে থেকে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন, দক্ষ হাতে উপজেলা পরিষদে নেতৃত্ব দিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ও শিক্ষাবান্ধব উপজেলা গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশগ্রহন করে থাকেন। পাটগ্রাম ও পাটগ্রামের বাইরে অধ্যয়নরত সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব। এছারাও পাটগ্রামের সকল রাজনৈতিক প্রোগামে তার উপস্থিতি নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রানের সঞ্চার করে। তার জ্বালাময়ি ও গঠনমুলক বক্তব্য সকল স্তরের মানুষের কাছে অনুকরণীয়, একজন সুবক্তা হিসেবে এলাকায় তার সুপরিচিতি রয়েছে। অনেকেই মনে করেন জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতির সুযোগ পেলে “বাবুল নেতা” নামে খ্যাত এই ব্যক্তিত্ব দেশ ও জনগনের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন। তাই মোতাহার হোসেনের যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে জনাব আলহাজ্ব মোঃ রুহুল আমীন বাবুল উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন বিবেচনায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের বিশ্বাস ও আস্থায় আছেন।
অনেকের মতে মোতাহার হোসেনের যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে তার সুযোগ্য পুত্র ইফতেখার মাসুদ মনোনয়ন পাওয়ার দাবি রাখেন। চেহারাগত দিক থেকে শুরু করে কথাবার্তা, নীতি-নৈতিকতা ও ভাবগাম্ভীর্য বিবেচনায় তার মাঝে মোতাহার হোসেনের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। শিক্ষা জীবনে মেধাবী ছাত্র হিসাবে সাফল্যের সাথে অধ্যয়ন শেষ করেন ও বর্তমান আলোকিত বাংলাদেশ সংস্থা নিয়ে কাজ করছেন দেশব্যাপী। নিজের ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টায় সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন ও গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য সহযোগীতা করায় তরুন প্রজন্মের কাছে পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। এছারাও তিনি সাফল্যের সাথে বাংলাদেশ/তুরস্ক সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখে চলেছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে সর্বমহলে আলোচনা করে জানা গিয়েছে। ইফতেখার মাসুদ পরবর্তি উন্নয়নের ধারা দক্ষতার সাথে অব্যাহত রাখতে পারবেন বলে সকলে মত দিয়েছে।