স্টাফ রিপোর্টারঃ-বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে সিএম এইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন চাওড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। জানাগেছে, ৩০ অক্টোবার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্মুখে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাদল খান বক্তব্য দেয়া শুরু করলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সাবেক বিএনপি সমর্থিত পৌর মেয়র মো. নাজমুল আহসান নান্নু  কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে কটুক্তিমুলক কথা বলেন। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়র রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান বাদল খানসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে নাজমুল আহসান নান্নুর মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে নাজমুল আহসান নান্নু, জিএম মুসা, জিএম হাসান তার পক্ষের লোকজনদের ডাক দিলে আপর পক্ষের লোকজনও এগিয়ে আসে, প্রথমে কথাকাটাটি তারপর ধাক্কাধাক্কি মারামারি শুরুহয়, এসময় চাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়।এসময় মারামারিতে ৬/৭ জন আহত হয়। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি মহল চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান বাদল ও পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানকে ফাসানোর জন্য  উঠেপড়ে লেঘেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জনপ্রিয় নেতাদের সুনাম হানি করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু নেতাদের বক্তৃতা দেয়ার সময় ডাকাডাকি চিৎকার না করলে শান্তিপূর্ন ভাবে এই সম্মেলন হযে যেত, কোন গন্ডগোল হত না। নাজমুল আহসান নান্নুই মারামারির নেপথ্যর মুল নায়ক। নাজমুল আহসান নান্নু কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আমরা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে নেপথ্যর নায়কের বিচার চাই। এ সম্পর্কে সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নুর মতামতের জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওযা যায়নি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, সাবেক পৌর মেয়র মো. নাজমুল আহাসান নান্নুর নেতৃত্বে সম্মেলন পন্ড করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা করা হয়েছে।