1. smabulhasan091@gmail.com : abul :
  2. admin@totthoprokash.com : akas :
  3. akaskuakata1992@gmail.com : Mehedi Hasan Sohag : Mehedi Hasan Sohag
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০১:১৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।

কোনও সুসংবাদ নেই, বাজার চলছে আপন গতিতে

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৯১ বার

নিউজ ডেস্কে কোনও সুসংবাদ নেই, বাজার চলছে আপন গতিতে

চাল আটা, তেল, চিনি ও ডাল আগের মতোই বাড়তি দামে কেনাবেচা হচ্ছে। এর ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাধারণ মানুষের। তাদের আয় ও সঞ্চয়ে প্রভাব পড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সঞ্চয় বলতে এখন আর তেমন কিছুই নেই। দিন এনে দিন খেয়ে কাটছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে তাদের আরও চাপে ফেলেছে শীতকালীন সবজির বাড়তি দাম। উচ্চমূল্যে এসব সবজি কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ অনেকটাই দিশেহারা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) চিকন থেকে মোটা বিভিন্ন মানের চাল ৫৬ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে এমন পরিস্থিতি। প্যাকেটজাত আটার কেজি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা লিটার দরে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৬ টাকা। মসুর ডালের কেজি ৯০ থেকে ১৩০ টাকা। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতোই ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবে পরিমাণে কম হওয়ায় বাড়তি চাহিদা থেকেই যাচ্ছে। এই সুযোগে মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছেন কৃষক, মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। সিজন শেষ, তাই প্রতি কেজি ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনও পরিবর্তন আসেনি। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মুলার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাকাভেদে ছোট ছোট লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা। পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমেছে। বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা; যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৪০ টাকা। লাল লেয়ারের দাম কিছুটা বেড়ে এখন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।
ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাওরান বাজারের মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। রুই মাছের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল মাছও বিক্রি হচ্ছে রুই মাছের দরে। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। শোল মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী শুক্কুর মিয়া জানিয়েছেন, বাজার চড়া। সব জিনিসের দামই বাড়তি। ফলে পাইকারি পর্যায়েও সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব তো খুচরা বাজারে পড়বেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অনৈতিক মুনাফা করা ব্যবসায়ীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার দরের দোহাই দিয়ে অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ালে শাস্তি পেতে হবে

সোসাল মিডিয়ায় সেয়ার করুন।

এ জাতীয় আরো খবর।
এই সাইটের কোন নিউজ/অডিও/ভিডিও কপি করা দন্ডনিয় অপরাধ।